দেখতে দেখতে আমাদের সামনে ২০২৩ হাজির, আর হাটি হাটি পা পা করতে করতে আমরা পা দিতে যাচ্ছি ৭ নং বছরে।
এই গত ৭ টি বছরে, আমরা সব থেকে বেশি যে প্রশ্নটি শুনেছি, ভাই আমি তো নতুন, কিভাবে শুরু করবো???
আজকের পর্বে আমি এমন দুটি বিষয় নিয়ে কথা বলবো যেগুলো আপনি যদি শিখতে পারেন তাহলে অনলাইনে চাকরি এবং ব্যবসা দুটোই করতে পারবেন। এবং বেশ ভাল পরিমাণ উপার্জনও করতে পারবেন।
আমরা কারা??
শুরু করার পূর্বে আমাদের সম্পর্কে,
আমরা (আইটি বাড়ি) হচ্ছি মূলত একটি ফ্রীল্যান্সিং ফার্ম। নামে ফ্রীল্যন্সিং ফার্ম হলেও, আমাদের কাজকর্মের ৯৮%ই ব্যবসাভিত্তিক। এক কথায়, আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইড করে থাকি।
আমরা প্রায় ২০১২ সাল থেকে এই ডিপার্টমেন্টে প্রোফেশনাল সার্ভিস দিয়ে আসছি। এই পর্যন্ত শতাধিক প্রোজেক্টে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে আমাদের। আমাদের কাজ করা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আমেরিকার Boston Medical Group, The Box Zone Company এবং সিংগাপুরের কিছু ফটোগ্রাফি প্রতিষ্ঠান অন্যতম। এছাড়াও আমাদের দেশী লোকাল কিছু প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
এইটুকু অভিজ্ঞতা থেকে একটা জিনিস খুব ভাল করে শিখেছি আর সেটা হচ্ছে, প্রোফেশনাল লেভেলে কাজ করতে গেলে প্রথমে একটা লেভেলের নলেজ নিয়ে গেলেই শুধু হয় না, পাশাপাশি নিয়মিত নতুন নতুন জিনিস শিখে যেতে হয়। না হলে মার্কেট থেকে সরে যেতে হয়।
আর কোন কিছু শেখার সব থেকে ভাল পদ্ধতি হচ্ছে আমার নিজের শেখা কারো সাথে শেয়ার করা। আপনি বিশ্বাস করুন বা নাই করুন, জিনিসটা ম্যাজিকের মত কাজ করে। অনেকটা একারনেই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল আইটি বাড়ির। এখানে আমরা যেমন প্রিমিয়াম কোর্স বিক্রি করি, পাশপাশি ফ্রীতেও অনেক টিপস শেয়ার করে থাকি। আমাদের মূল লক্ষই স্বল্প খরচে ভাল কিছু শেখানো।
আমি জানি আমাদের সম্পর্কে অনেকেই জানেন না, জাস্ট জানানোর জন্যই একটু সূচনা ছিল।
এবার মূল টপিকে ঢোকা যাক,
অনলাইনে আয় বলতেই আমরা অনেকে মনে করি গ্রাফিক্স ডিজাইন, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ওয়েব ডিজাইন, অমুক তমুক আরো ব্লা ব্লা ব্লা হাবিজাবি অনেক কিছুই।
হ্যা, সত্যি সত্যি-ই সব গুলো কাজ শিখেই ইন্টারনেট থেকে আয় করা যায়।
কিন্তু আপনার জন্য কি সব?
বাস্তব জীবনে ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং, শিক্ষকতা, রাজনীতি ইত্যাদি বিভিন্ন পেশা আছে। সব গুলো পেশা থেকেই তো আয় করা যায়, কিন্তু ইনকাম করা গেলেই তো একজনের অন্য সব পেশা নয় তাইনা?
তাহলে কোনটা আপনার জন্য?
আজকের এই পোস্টে আমি আপনাকে এমন কিছু কাজের কথা বলব যেটা শিখলে আপনি অনলাইনে ক্লাইন্টের হয়ে চাকরী অর্থাৎ ফ্রীল্যান্সিং করতে পারবেন আবার চাইলে নিজেই অনলাইনে ব্যবসাও করতে পারবেন! তবে এটা কোন “রাতারাতি ধনী হওয়ার গোপন মন্ত্র”- নয়!
মাত্র ৫ মিনিট ইনভেস্ট করুন, বাস্তব তথ্য জানুন
যদি আগামী ৫ মিনিট বাকী সব কাজ ফেলে রেখে একাগ্রতার সাথে কিছু কাজের কথা পড়তে চান তাহলেই কেবল নিচের দিকে আগান, এছাড়া নয় 🙂
তো চলুন, আপনাকে একটি প্রশ্ন দিয়ে শুরু করা যাক, বাস্তব জীবনে ব্যবসা করার জন্য মিনিমাম কিসের প্রয়োজন হয়?
উত্তরে অনেকেই বলবেন কিছু পুজি, ক্যাশ তবে সেগুলো তো লাগবেই, তার সাথে যেটা না হলেই নয় সেটা হচ্ছে কমপক্ষে একটা অফিস, বা ছোট্ট কোন দোকান বা একদম নূন্যতম একটা ঠিকানা যেখানে গেলে ওই ব্যবসার অস্তিত্ব পাওয়া যাবে। (এমনকি ফুটপাতের দোকানেরও কিন্তু একটা লোকেশন থাকে)
কেন?
কারন, ঠিকানা না থাকলে মানুষ আপনাকে খুজবে কোথায়, আপনার পণ্য বা সার্ভিস নিবে কিভাবে। এজন্যই মিনিমাম একটা ঠিকানা থাকতেই হবে ব্যবসার জন্য।
এবার যদি আমি আবারো আপনাকে জিজ্ঞেস করি, ইন্টারনেট তো ধরা যায় না, তাহলে সেখানে ব্যবসার জন্য মিনিমাম কি প্রয়োজন?
চমৎকার প্রশ্ন তাইনা?
-হ্যা ইন্টারনেটে ব্যবসা করতে গেলেও নূন্যতম কিছু একটা প্রয়োজন হয়। আর সেটা হচ্ছে একটি ওয়েবসাইট! ওয়েবসাইট হচ্ছে ইন্টারনেট ভিত্তিক ব্যবসার প্রধান ঠিকানা।
যেমন আপনি এই মুহূর্তে আমাদের ওয়েবসাইটে আছেন এবং আমাদের একটি আর্টিকেল পড়ছেন। এখন আপনি যে ওয়েবসাইটে এই লিখাগুলো পড়ছেন, এটাই হচ্ছে অনলাইনে আমাদের প্রতিষ্ঠানের প্রথম পরিচিতি।
তার মানে এইটুকু ক্লিয়ার যে অনলাইনে ব্যবসা করতে গেলে ওয়েবসাইট লাগে (পয়েন্টটা মনে রাখবেন)
এবার আসা যাক, ওয়েবসাইট থাকার পরে কি লাগে?
ধরে নিলাম, আপনার ক্লাইন্ট বা আপনি অনলাইনে লেডিস হ্যান্ডব্যাগ বিক্রির ব্যবসা করবেন। তো এর জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেললেন। ওয়েবসাইট তৈরি করার মাধ্যমে অনলাইনে আপনার একটি ঠিকানা তৈরি হল। তার মানে আপনার ওয়েব অ্যাড্রেসে (যেমন ধরুন- www.your-website-address.com) গিয়ে যে কেউ আপনার ওই অনলাইন দোকান বা ওয়েবসাইট টি দেখতে পারবে।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, একটি দোকান দিয়ে বসে থাকলেই কি আটোমেটিক কাস্টমার আসতে থাকবে?
মোটেও নয়, কাস্টমার নিয়ে আসার জন্য আপনার পণ্যের প্রচার বা মার্কেটিং করতে হবে। এটা তো বাচ্চা ছেলেও বোঝে 🙂
যত বেশি প্রচার তত বেশি সেল তাইনা? (সবাই জানে এটা)
প্রচারেই প্রসার তাইতো? আসলেই কি তাই??
কথাটা ভুল! প্রচার করার মানেই সেল বাড়া নয়। এটা অনেক বড় একটা মিথ্যা যা যুগ যুগ ধরে মানুষ বিশ্বাস করে আসছে! বরং লাইনটা এভাবে হওয়া উচিত- সাম্ভাব্য ক্রেতার কাছে যত বেশি প্রচার, তত বেশি সেল 🙂
বিষয়টা মনে করুন, আমি একজন অবিবাহিত ছেলে, আমার কাছে যদি আপনি আপনার লেডিস হ্যান্ডব্যাগের মার্কেটিং করেন তাহলে কি সেল হবে? মোটেও নয়। এমন আমার মত হাজার মানুষের কাছেও যদি ওই লেডিস প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং করেন তবুও কিন্তু কাজ হবে না।
কারন আমাদের তো ওই প্রোডাক্ট এর প্রতি আগ্রহ ই নেই, আমরা তো আর এর সাম্ভাব্য ক্রেতা নই।
বরং,
আপনি যদি এমন মেয়েদের কাছে ওই ব্যাগের মার্কেটিং করেন যারা হ্যান্ডব্যাগ খুজছে অথবা এমন ছেলের কাছে মার্কেটিং করেন যে তার প্রিয়তমাকে হ্যান্ডব্যাগ গিফট করতে চাচ্ছে তাহলে কিন্তু সেল হওয়ার চান্স অনেক অনেক বেশি থাকে।
কিছু কি মাথায় ঢুকেছে? আমার পয়েন্ট কিছুটা কি বুঝতে পারছেন?
শুধু মার্কেটিং নয়, বরং আপনার পণ্যের প্রতি ইন্টারেস্ট বা আগ্রহ আছে এমন লোকের কাছেই মার্কেটিং করলে দ্রুত সেল বাড়ানো সম্ভব।
এবার আসি কাজের কথায়, অনলাইনে কিভাবে সেল বাড়ানো যাবে?
ইন্টারনেটে এই ধরণের টার্গেট সেলের অন্যতম একটি উপায় হচ্ছে SEO. টার্গেটকৃত ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছে দেয়ার অন্যতম মূখ্য মার্কেটিং পলিসি হচ্ছে SEO। ডিজিটাল মার্কেটিং ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম বৃহৎ অংশ এটি।
SEO (Search Engine Optimization) কি? এক কথায় বলে দিলে- সার্চ ইঞ্জিন যেমন Google এর সার্চ রেজাল্টে যে কোন ওয়েবসাইটের র্যাংকিং করানোর প্রক্রিয়াকে SEO বলে। নতুন অবস্থায় বুঝতে অসুবিধা হলে সহজভাবে বুঝে নিন SEO হচ্ছে এক ধরণের ডিজিটাল মার্কেটিং।
উপরের এতগুলো কথা যদি ভালভাবে পড়ে থাকেন তাহলে এটা অন্তত বুঝে গেছেন যে, ইন্টারনেটে যে ব্যবসাই থাকুক না কেন দুইটা জিনিস লাগবেই লাগবে,
এক হচ্ছে ওয়েবসাইট বা অনলাইনে তার ব্যবসার ঠিকানা যেখান থেকে অর্ডার করা হবে আর দুই হচ্ছে SEO- যেটার মাধ্যমে সেল আসবে
যদিও এ দুটি ছাড়াও সেল বাড়ানোর আরো অনেক উপায় আছে কিন্তু এ দুটোই হচ্ছে প্রাথমিক এবং না হলেই নয় এমন জরুরী কাজ।
এখন ভাবুন তো, প্রতিটি ব্যবসাতেই যেহেতু এটির প্রয়োজন হয় আর আপনি যদি এ দুটো কাজ শিখে এ দুটো সেক্টরে নিজেকে দক্ষ করে ফেলতে পারেন তাহলে আপনার কি আর কাজের অভাব হবে?
আপনি যদি ক্লাইন্টের হয়ে কাজ করেন বা ফ্রীল্যান্সিং করেন তাহলে ক্লাইন্টের ও তো অনলাইনে একটি ব্যবসা থাকবে তাইনা। কারন তার অনলাইনে ব্যবসা আছে দেখেই তো সে লোক খুজছে ইন্টারনেটে কাজ করানোর জন্য।
তাহলে এ দুটো তার প্রয়োজন হবে আর আপনি তাকে এই সার্ভিস দিতে পারবেন। এমনভাবে প্রায় প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকেই আপনি সার্ভিস দিতে পারবেন।
অপরদিকে, যেহেতু অনলাইনে ব্যবসা করার জন্য এ দুটো হচ্ছে কোর এবং প্রধান চাহিদা এজন্য আপনি এ দুটো শিখে ফেললে নিজেও অনলাইনে একটা ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
তার মানে দাড়াচ্ছে, আপনি ওয়েব ডিজাইন এবং SEO, এ দুটো জিনিস শিখলে ইন্টারনেটে চাকরী বা ফ্রীল্যান্সিং ও করতে পারবেন এবং চাইলে নিজের ব্যবসাও করতে পারবেন।
ওয়েব ডিজাইন + SEO জানা থাকলে যেসব উপায়ে আয় করতে পারবেনঃ
- প্রথমত ফ্রীল্যান্সিং করে আয় করতে পারবেন যেমন- আপওয়ার্ক, ফ্রীল্যান্সার, ফাইভার ইত্যাদি সাইটে কাজ করতে পারবেন
- নিজে ই-কমার্স ব্যবসা বা অনলাইনে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন
- একটি ব্লগসাইট করে সেখানে কন্টেন্ট দিয়ে সেটার SEO করে ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারবেন
- সাইটে ট্রাফিক বা ভিজিটর আনার পরে Google Adsense থেকে আয় করতে পারবেন
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য এই নলেজ গুলোর প্রয়োজন
- বিশেষ করে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য এইগুলা জানা বাধ্যতামূলক
- CPA মার্কেটিং কে যদি অ্যাডভান্স লেভেলে নিয়ে যেতে চান তাহলে এইগুলা জানতে হবে
- লোকাল মার্কেটেও ওয়েবসাইট ডিজাইন সার্ভিস শুরু করতে পারেন
- আশে পাশে দিন দিন ওয়েব ডিজাইনার, ডেভেলপার এবং SEO দের জবের চাহিদা অনেক বাড়ছে, অনায়াসেই এমন জবে যোগদান করতে পারেন
- নিজেই একটি আইটি ফার্ম খুলে এই বিষয়ক সার্ভিস দেয়া শুরু করতে পারেন
- এ রকম আরো হাজার রকমের উপায় বের করা সম্ভব যা হয়ত আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না!!…
এখন ভেবে দেখুন,
এ দুটো শিখলে আপনি চাইলে ফ্রীল্যান্সিং করে আয় করতে পারছেন, চাইলে অনলাইনে নিজের ব্যবসা শুরু করার মত টেকনিক্যাল নলেজ অর্জন করতে পারছেন বা চাইলে লোকাল কোন আইটি ফার্মে জব ও করতে পারছেন।
শুধুমাত্র আইটি ফার্ম নয়, যেহেতু আজকাল প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই ইন্টারনেটে বিক্রির সম্ভাবনা উপলব্ধি করতে পারছে কাজেই তারাও নিজেদের ওয়েবসাইট তৈরি, সেগুলো মেইনটেইন করা, এসইও করা এসবের জন্যও আলাদাভাবে এমপ্লয়ি নিয়োগ দিচ্ছে। ফলে যে কোন কোম্পানীতেই এই চাকরীর সুযোগ তৈরি হতে যাচ্ছে, যার ডিমান্ড এক সময় অনেক উপরে থাকবে।
কাজেই আমার সাজেশন- এ দুটো শিখে নিজেকে সকল প্রকার চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত করুন
কিভাবে শিখবেন এই কোর্স গুলো?
যে কোন কিছু শেখার সবচাইতে কমন উপায় হচ্ছে কোর্স করা। কিন্তু এই দুটি বিষয় প্রোপারলি শিখে কোর্স করতে গেলে আপনাকে মিনিমাম ৩০-৪০ হাজার টাকা খরচ করতে হবে। এর পরে প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কোর্স করতে প্রতিদিন কোর্স এর ২ ঘণ্টা এবং সেখানে যেতে আসতে রাস্তায় ৩ ঘণ্টা, মোট ৫ ঘণ্টা টাইম নষ্ট হয়। এরপরে কোন একদিন মিস দিলে সেটাতে পিছিয়ে পরতে হয়।
এগুলোর থেকে বড় যে সমস্যা সেটি হচ্ছে এদেশের ৯৯% প্রতিষ্ঠানে সঠিকভাবে কোর্স করায় না। ঢাকাতে অল্প কিছু প্রতিষ্ঠান থাকলেও ঢাকার বাইরে একেবারেই নেই বললেই চলে।
এরজন্য বাধ্য হয়ে অনেকেই কাজ শিখতে বড় ভাইদের কাছে যান। কিন্তু কার এত টাইম আছে নিজের খেয়ে আপনাকে শেখানোর?
গুগল, ইউটিউব?
অনেকেই শেষমেশ দিশা না দেখে গুগল, ইউটিউবে সার্চ করে করে শেখা শুরু করে। হ্যা, গুগল, ইউটিউবে সার্চ করে সত্যি সত্যি ই শেখা যায়, কিন্তু তাদের সব থেকে বড় যে সমস্যা সেটি হচ্ছে সেখানে শূন্য থেকে গুছিয়ে ধাপে ধাপে সামনের দিকে নেয়ার মত কিছু নেই।
ব্যাপারটা হচ্ছে অনেকটা এই রকম, মনে করুন আপনি ইংরেজী ভাষা শিখবেন। এর জন্য আপনাকে ABCD এবং বিভিন্ন Vocabulary বা শব্দ জানতে হবে। আপনি যদি বেসিকটা জানেন তখন আপনাকে রচনা লিখতে দিলে সেটা একটু হেল্প নিয়ে লিখতে পারবেন। কিন্তু তার জন্য তো বেসিকটা জানা লাগবে।
আর এই ইউটিউব গুগলে এই বেসিক ভিত্তিটা সুন্দর করে সাজিয়ে দেয়া থাকে না। সেখানে আপনি হয়ত অনেক বড় বড় প্রশ্নের/সমস্যার সমাধান অনায়াসে পেয়ে যাবেন কিন্তু সেই অ্যাডভান্স লেভেলের বিষয়টা দেখে আপনি কেবলমাত্র তখনই বুঝতে পারবেন যখন আপনার বেসিক নলেজ শক্তপোক্ত থাকবে।
তাহলে এর সমাধান কি হতে পারে?
দেখুন শুধুমাত্র এই এসইও এবং ওয়েব ডিজাইন ই নয়, পৃথিবীর যে কোন কিছু শেখার সব থেকে কার্যকরী এবং টাইম সেভিং উপায় হচ্ছে ভিডিও টিউটোরিয়াল। এটি হচ্ছে এমন এক ধরণের সিস্টেম যেখানে আপনি ভিডিও দেখার মাধ্যমে ঘরে বসেই যে কোন কিছু শিখে ফেলতে পারেন।
এর একটি সুবিধা হচ্ছে কোচিং এ গিয়ে অযথা সময় নষ্ট না করে ঘরে বসেই দেখতে পারেন। এছাড়াও একই ভিডিও বার বার প্লে করে দেখার মাধ্যমে একটি বিষয় অত্যন্ত গভীরভাবে জানা যায়।
তাছাড়া ভিডিও টিউটোরিয়াল এর মূল্য সাধারণত সরাসরি কোচিং এর থেকে অনেক গুন কম হয়। এক্ষেত্রে কোয়ালিটি ভিডিও টিউটোরিয়াল পেলে আপনি অর্থ এবং সময় উভয়দিক দিয়েই লাভবান হতে পারেন।
আপনি যদি প্রতিদিন মাত্র ২-৩ ঘণ্টা সময় দিয়ে এসইও এবং ওয়েব ডিজাইন এ দুটো বিষয় শিখে ইন্টারনেটে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করতে চান, তাহলে আইটি বাড়ি প্রকাশিত ওয়েব গুরু এবং SEO ভিডিও কোর্সটি সংগ্রহ করতে পারেন।
এ দুটো কোর্সে একদম শূন্য থেকে হাতে ধরে কিভাবে এসইও শিখবেন এবং ওয়েবসাইট তৈরি করবেন তার বিস্তারিত থিউরিক্যাল এবং প্র্যাক্টিক্যাল ভিডিও রয়েছে এখানে।
এখানে এসইও কোর্সে SEO এর বেসিক থেকে অ্যাডভান্স এবং ওয়েব গুরু নামক কোর্সে ওয়েব ডিজাইন+ডেভেলপমেন্ট দেখানো হয়েছে।
এদুটো কোর্স দেখে ইতিমধ্যেই অনেকে ইন্টারনেট থেকে সফল ভাবে ইনকাম করছেন। এবং এগুলো রকমারি.কম এর লক্ষাধিক বইয়ের ভেতরে প্রায়ই বেস্টসেলার এর তালিকায় থাকে।
সংক্ষেপে SEO ডিভিডিতে যা যা আছেঃ
- SEO কি কেন কিভাবে?
- টপ র্যাংকিং ফ্যাক্টর
- প্র্যাক্টিক্যাল কিওয়ার্ড রিসার্চ
- নিশ রিসার্চ
- কন্টেন্ট রাইটিং টিপস
- পুরো অনপেইজ অপ্টিমাইজেশন আউটলাইন
- প্র্যাক্টিক্যালি অনপেইজ অপ্টিমাইজেশন করা
- Yoast SEO, Meta Tag, Permalink, Google/Bing Search Console/Webmaster, Link Disavow, Robots.txt, Sitemap.xml, Cannonical URL 301,302 Redirection, Analytic ইত্যাদি যাবতীয় বিষয় এখানে দেখানো হয়েছে প্র্যাক্টিক্যালি করার মাধ্যমে
- অফ পেইজ অপ্টিমাইজেশনের উপরে রয়েছে বহু প্র্যাক্টিক্যাল এবং অ্যাডভান্সড লেসন
- থাকছে অ্যাডভান্সড লিঙ্ক বিল্ডিং স্ট্রাটেজি (আগের দিনের একই ফালতু সিস্টেম নয়)
- Forum posting, Web 2.0, Guest Posting, Email Outreach, Sponsored Link Building, Broken Link Building, Infographic Link Building ইত্যাদি যাবতীয় বিষয় নিয়েই ভিডিও দেখানো হয়েছে
এর পরে ওয়েব গুরু (ডিজাইন+ডেভেলপমেন্ট) ডিভিডিতে যা যা আছেঃ
- HTML 4+5
- CSS 3
- Responsive Web Design
- PSD to HTML
- Bootstrap 4
- Javascript, jQuery
- Basic PHP
- WordPress Theme Development
এ দুটো কোর্সের শেষে অনলাইনে এই নলেজগুলো দিয়ে কিভাবে আয় করা যায় সে সম্পর্কে গাইডলাইনমূলক ভিডিও রয়েছে। যা দেখে বেশ ভাল গাইডলান পাওয়া যাবে সফলতার জন্য।
এই ভিডিও দেখে শিখে সফল হতে পারবেন কিনা যাচাই করে সরাসরি ডিভিডি থেকে নেয়া কিছু ডেমো ভিডিও দেখে নিনঃ
এসইও এর ডেমো ভিডিওঃ
ওয়েব গুরু এর ডেমো ভিডিওঃ
কোর্স গুলোর স্পেশাল ডিস্কাউন্ট প্রাইস…!
দুটো কোর্সের রেগুলার প্রাইস ৮০০০ টাকা একসাথে।
কিন্তু স্টুডেন্ট এবং অনলাইনের প্রতি মানুষের আগ্রহকে বৃদ্ধি করার লক্ষে আমরা এই কোর্সগুলো বিশেষ ছাড়ে দিচ্ছি মাত্র ৩৮৪০ টাকায়! [যা মাত্র ৩ মাসের ইন্টারনেট বিলের সমান, অথচ মার্কেট ভেল্যু লাখ টাকার উপরে!!!]
এটা কোন খরচ নয়, এটা আপনার ফ্রীল্যান্সিং ক্যারিয়ারের প্রতি সবচাইতে গুরুত্বপুর্ন ইনভেস্টমেন্ট
[এ সুযোগ বেশিদিন নাও থাকতে পারে]
এই সুবর্ণ সুযোগ মিস হওয়ার আগেই সংগ্রহ করে নিন আপনার কপি!!
(এখান থেকে অর্ডার করুন)
* তথ্য জানার প্রয়োজনে সরাসরি ডায়াল করুন- 09604400400(11AM-8PM)